| ২১ নভেম্বর: মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে-- টাইমস সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও অন্য পশ্চিমা নেতাদের কাছে এই মর্মে চরমপত্র দিয়েছেন যে দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ সমস্যার সমাধান না হলে ভারত সরকার জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবে, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবে, বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করবে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকাশ্যে সমর্থন দেবে। ষ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যাডওয়ার্ড হিথ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কাছে প্রেরিত এক জরুরি পত্রে অবিলম্বে বাংলাদেশ সংকট সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
- মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার নতুন বাজারে রাজাকারের ঘাঁটিতে আক্রমণ করে ১৩ রাজাকারকে বন্দি করে। মুক্তিবাহিনী রাজাকারদের কাছ থেকে ১৩টি রাইফেল এবং প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করে। ষ সিলেটের শ্রীঘাট-গোয়াইনঘাট সড়কে মুক্তিবাহিনীর পেতে রাখা মাইনের বিস্ফোরণে পাকিস্তানি বাহিনীর একটি জিপ ধ্বংস হয়। এতে ওই জিপের এক মেজরসহ আরো পাঁচ শত্রুসেনা নিহত হয়। ষ নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুরে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এক সম্মুখযুদ্ধে সাত পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। ওই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর মর্টার ব্যবহার করা হয়। মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর কাছ থেকে এক হাজার ১০০ অ্যামিউনিশন ও একটি চীনা রাইফেল উদ্ধার করে। ষ যশোরের চৌগাছায় মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী যৌথভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আক্রমণ করে। উভয় পক্ষ এই যুদ্ধে ট্যাঙ্ক এবং ভারী কামান ব্যবহার করে। যৌথ বাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হঠতে বাধ্য হয়। যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর ছয়টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়। ১৪টি চীনা স্যাফি ট্যাঙ্ক নিয়ে প্রায় ৫০০ পাকিস্তানি সেনাযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল।
|